মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৯:৩৩ অপরাহ্ন
লালমনিরহাট প্রতিনিধি::
লালমনিরহাটের বুড়িমারী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে প্রবেশ করে কোরআন শরীফ অবমাননা করার অভিযোগে শহিদুন্নবী জুয়েল নামে এক যুককে পিটিয়ে হত্যার পর ওই ব্যক্তির মরদেহ প্রকাশ্যে পুড়িয়ে ফেলেছে বিক্ষুব্ধ জনতা।
বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর) মাগরিবের নামাজের পর বুড়িমারী ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে ঘটে এ ঘটনা।
প্রতক্ষ্যদর্শীদের দাবি, আসরের নামাজের পর ওই মসজিদে অজ্ঞাত দুই ব্যক্তি প্রবেশ করে সেখানে থাকা পবিত্র কোরআন শরীফ মেঝেতে ফেলে দেয়। এক পর্যায়ে কোরআন শরীফে আগুন ধরিয়ে দেয়। এই দৃশ্য দেখে কয়েকজন মুসল্লি চিৎকার করলে ওই দু’জনকে আটক করে প্রথমে বুড়িমারী ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে নেয়া হয়। কিন্তু খবরটি মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়ায় সন্ধ্যার দিকে কয়েক হাজার বিক্ষুব্ধ জনতা পরিষদ কার্যালয় ঘিরে ফেলে। পরে ইউনিয়ন কার্যালয়ের দরজা ভেঙে আটকদের বাইরে বের করে। এ সময় একজন পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও অপর ব্যক্তি গণপিটুনিতে ঘটনাস্থলে মারা যান। পরে তার মরদেহ আগুনে পুড়িয়ে দেয় বিক্ষুব্ধ জনতা। এ ঘটনায় একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
নিহত শহিদুন্নবী জুয়েলের পরিচয় পাওয়া গেলেও আটক ব্যক্তির পরিচয় জানা যায়নি। নিহত শহিদুন্নবী জুয়েল রংপুর ক্যান্ট পবলিক স্কুলের সাবেক শিক্ষক বলে জানা গেছে। তার বাবার নাম আবদুল ওয়াজেদ মিয়া।
এদিকে পরিস্থিতি মোকাবেলায় কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে পুলিশ। বর্তমানে সেখানে থমথমে উত্তেজনা বিরাজ করছে। দাঙ্গা পুলিশসহ অতিরিক্ত পুলিশ ও বিজিবি মোতায়েন রয়েছে।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক আবু জাফর বলেন, ঘটনাটি দুঃখজনক। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে আছে।